বরগুনা পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২১। মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ হুমায়ুন কবির এগিয়ে। বিএনপিতে অ্যাডভোকেট আ. হালিম।
দলীয় প্রতীক নৌকা প্রত্যাশী প্রার্থী-৫। ১. আলহাজ হুমায়ুন কবির, ২. অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ, ৩. রইসুল আলম রিপন, ৪. মো. শাহাদাত হোসেন, ৫. অ্যাড. মো. শাহজাহান মিয়া।
দলীয় প্রতীক ধানের শিষে প্রার্থী-১ অ্যাডভোকেট আ. হালিম। হাত পাখায় আলহাজ হযরত মাওলানা জালাল উদ্দীন কারিমী। সম্প্রীতি নির্বাচন কমিশন আগামী ৩০ জানুয়ারি-২০২১ বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষণার পর থেকেই পাল্টে গেছে শহরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিদিনই প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ইতিমধ্যে সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ হুমায়ুন কবির আলহাজ হুমায়ুন কবির দলের নিবেদিত প্রাণ ছাত্রজীবন থেকে তিনি প্রথমে ছাত্রলীগের বরগুনা সদর থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বরগুনা জেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি আওয়ামী লীগের হাল ধরে আছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
বরগুনা পৌর নির্বাচনে ইতিপূর্বে কয়েকবার মনোনয়ন দেয়ার কথা উঠলেও একবারও দলীয় মনোনয়ন পাননি। তারপরেও তার কোনো ক্ষোভ নেই। তিনি মনে করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা কখনো দলের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে না।
তবে তিনি এবার আশাবাদী দলের প্রতি তার ত্যাগের কথা বিবেচনা করে এবার তাকে দল মনোনয়ন দেবে। তিনি আরো বলেন, দলের সাথে অতিতে কখনো বেইমানী করিনি ভবিষ্যতেও করব না। জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, গত নির্বাচনে আমাকে পরিকল্পিতভাবে ষরযন্ত্র করে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।
এবারও দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করব অন্যথায় দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করব। বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রইসুল আলম রিপন বলেন, আমার যোগ্যতায় আমি তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি।
দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি মেয়র নির্বাচিত হবো। বর্তমান পৌর মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি বরগুনায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি দল মনোনয়ন দিলে আমি পুনরায় নির্বাচিত হবো। সাবেক মেয়র অ্যাড. শাহজান মিয়া বলেন, আমার পরিকল্পিত যে কাজগুলো বাস্তবায়ন করে যেতে পারিনি সেই কাজগুলো বর্তমান মেয়রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়েছে আমি মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হয়ে আরো পরিকল্পিত উন্নয়নমূলক কাজ করবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত দলের বিদ্রোহীদের কোনো মনোনয়ন দেয়া হবে না সেক্ষেত্রে যারা দলের ত্যাগী তাদের নাম দলের প্রথম সারিতে রাখা হবে।
সাধারণ জনগণের মতামত আলহাজ হুমায়ুন কবির দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী লীগ করেন। একজন সৎ ব্যক্তি হিসেবে তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।